“বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।”
কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতার মর্মবাণীর সঙ্গে একমত হয়ে বলতে হয় নারী শিক্ষার জাগরণ ব্যতিরেকে একটি জাতির পূর্ণ বিকাশ সম্ভব নয়। উন্নতিও সম্ভব নয়। সেই লক্ষ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের স্বত্বাধীন খালিশপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। খুলনার উত্তর পূর্ব বরাবর এই অঞ্চলে নারী শিক্ষা কার্যক্রমের দীর্ঘ পশ্চাৎপদতার কারণে, এই বিদ্যালয়ে প্রথম পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ হিসেবে একাধিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন আমাকে হতে হয়। নতুন প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক স্বীকৃতি, অটোমেশন চালু, অত্যাধুনিক শ্রেণি কক্ষে পাঠদান, শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ নিশ্চিতকরণ সহ খুলনার অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হওয়ার লক্ষ্যে, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে যাবতীয় প্রতিকূলতা অতিক্রম করে চলেছি এক ঝাঁক মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষকদের সমন্বয়ে। বিশেষ করে বিদ্যালয়ে শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কম্পিউটার ল্যাব, প্রয়োজন অনুসারে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের ব্যবস্থা, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, বিজ্ঞানাগার, প্রশস্থ খেলার মাঠ, সুসজ্জিত ক্যাম্পাস, পরিবহণ সুবিধা,পর্যাপ্ত খাবার পানির সুবিধা,অভিভাবক ছাওনি, পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্ন ওয়াশরুমের যথাযথ ব্যবস্থা রয়েছে। সময়ের বিরূপ পরিস্থিতির কারণে আমরা বালিকাদের সার্বিক নিরাপত্তাকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী যোগ্যতা নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে একাধিক কার্যক্রম। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর, নির্দেশিত প্রতিটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করে দক্ষতার সাথে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থাপন করা হয়। আমরা মনে করি নিয়মানুবর্তিতা, সময়ানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলা একজন শিক্ষার্থীকে মেধাবী, সৃজনশীল ও কর্মমুখী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে যা দেশ ও জাতির স্বপ্ন পূরণ করবে বলে আশা রাখি।
ধন্যবাদান্তে
আবু সাইদ মোঃ মেসবাউল হক
অধ্যক্ষ
খালিশপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ কেসিজিএস কারিগরি সহায়তায়: মৌমিতা রায় & কামিল হাসান